জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের ভিন্ন অবস্থানের কারণে মাঙ্গলিক দোষের প্রকারভেদ গুলি দেখে নিন:
জাতক বা জাতিকার মধ্যে ক্রোধের
পরিমাণ বেশি থাকে। জেদি, ইচ্ছাশক্তিতে পরিপূর্ণ, কর্তৃত্ব-পরায়ণ হয়। সামান্য
কারণেই মাথাগরম করার প্রবণতা দেখা যায়। প্রথম ভাবে মঙ্গলের দৃষ্টি থাকলে জাতকের
স্বাস্থ্য ভালো যায় না, স্বভাবে উগ্রতা আসে।
দ্বিতীয়-ভাবে মঙ্গল-
রুক্ষভাষী, স্পষ্টবক্তা
হওয়ার জন্য আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে বিচ্ছেদ,
বদনাম হয়। স্পষ্টবক্তা হওয়ার কারণে কথার
দ্বারা অন্যকে আঘাত বা অপমান করার প্রবণতা থাকে। বিবাহিত জীবনের মাধুর্যতা নষ্ট
হয়ে যায়। পরিবারিক এবং কর্মজীবনে নানা
বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ফলে শান্তি দূরে পালায়। সেই সঙ্গে জীবন
দুর্বিসহ হয়ে উঠতেও সময় লাগে না।
চতুর্থে মঙ্গল-
শ্বশুরালয়ে কোনও মহিলা বিবাহিত
জীবনের আনন্দকে চরম নিরানন্দে পরিণত করে। মায়ের শরীর খারাপ, বাড়িতে
অসুস্থতা লেগেই থাকে।. তার কর্মজীবনের উপর খারাপ প্রভাব পরে। ফলে কোনও একটি কাজে
টিকে থাকার সম্ভাবনা কমে। সেই সঙ্গে চাকরি জীবনে নানা বাঁধার সম্মুখিন হতে হয়। ফলে
স্বাভাবিকভাবেই প্রফেশনাল গ্রোথ ধিমে গতিতে হতে থাকে।
সপ্তমে মঙ্গল-
এই ঘরটিকে জীবনসঙ্গীর ঘর হিসাবে
দেখা হয়। এই স্থানে মঙ্গলের অবস্থান জাতক বা জাতিকাতে সহজেই প্রেম এনে দেয় এবং তীব্র
কাম ভাবাপন্ন করে তোলে। এই ভাবে মঙ্গলের সঙ্গে অশুভ শনি বা কেতুর সংযোগের কারণে
বিবাহে বিলম্ব বা অনুঢ়া যোগ তৈরি করে। সপ্তমে মঙ্গলের প্রভাবে বিবাহিত জীবন সুখের
হয় না, অশান্তি লেগেই থাকে। ব্যবসায় উন্নতি হয় না আর। জাতক কথায় কথায় মাথা গরম
করে ফেলবেন। আর রাগ যে বেজায় সুখি জীবনের পরিপন্থি, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না!
প্রসঙ্গত, এমন মানুষেরা খুব ডমিনেটিং স্বভাবেরও হয়ে থাকেন। অন্যের মত শোনা তো
দূর, তাদের কথার যে কোনও গুরুত্ব রয়েছে, তা মেনে নিতেও এরা অপারক। এই
কারণেই তো এদের সঙ্গে কারওই সম্পর্ক ভাল থাকে না। তাই ঘরে-বাইরে এরা বড়ই একা হয়ে
পরে।
অষ্টমে মঙ্গল-
এই ঘরটি থেকে আমরা মৃত্যু ও
দুর্ঘটনার বিচার করে থাকি। এই ঘরে মঙ্গলের অবস্থান অত্যন্ত অশুভ। হঠাৎ দুর্ঘটনায়
মৃত্যু বা আত্মহত্যার যোগ নির্দেশ করে। আইনি ঝামেলা বৃদ্ধি পায়। তারা বড়ই অলস হন।
কোনও কাজই এরা মন দিয়ে করতে চান না। ফলে সফলতা এদের থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন।
তবে এখানেই শেষ নয়, এমন জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে বাবা-মার সম্পর্কও ভাল থাকে না।
ফলে পারিবারিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল।
দ্বাদশে মঙ্গল-
দ্বাদশভাব শয্যা সুখের ঘর। এখানে নীচস্থ বা অশুভ মঙ্গল অবস্থান করলে দাম্পত্য সুখে চরম অভাব দেখা যায়। এমনকি নিঃসঙ্গতা তৈরি করে। এই মঙ্গল কোনও ভাবে অশুভ শনি বা রাহু দ্বারা দৃষ্ট হলে সঙ্গীর মৃত্যু ঘটে থাকে। জাতক বা জাতিকার মানসিক দুশ্চিন্তা, টেনশন বেড়ে যায়। নানা কারণে প্রতিপক্ষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে নানা ধরনের অর্থনৈতিক বাঁধার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর এমনটা হলে স্বাভাবিকভাবেই সুখ-শান্তি দূরে পালায়।
COMMENTS